প্রকাশিত: ২৮/০১/২০১৭ ১১:১০ এএম

নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দুই সাধারণ শিক্ষার্থী। শুক্রবার দুপুরে প্রীতিলতা হলে এ ঘটনা ঘটে। তাদের ছাত্রী সংস্থার কর্মী ও জেহাদি বই পাওয়া গেছে বলে এমন অভিযোগে মারধর করা হয়।
মারধরের শিকার হওয়া দুই ছাত্রী হলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের সুমাইয়া জাহান ও ইতিহাস বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী তাজিন আহমেদ।
আর যার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে তিনি হলেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেত্রী মুনতাহা মুহী। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান জানিয়েছেন, প্রীতিলতা হলে আসন বরাদ্দ পাওয়ার পর শুক্রবার হলে ওঠেন তিনি। কিছুক্ষণ পর মুনতাহা মুহী এসে ছাত্রীসংস্থার কর্মী বলে আমাদের মারধর করে। পরে অন্যরা এসে মারধর করে রুমে আটক করে রাখে। হলের প্রভোস্ট ম্যাডাম এসে আমাদের উদ্ধার করেন। সুমাইয়া বলেন, আমরা ছাত্রীসংস্থার কর্মী নই, সাধারণ শিক্ষার্থী।
প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.শান্তি রানি হালদার বলেন, সুমাইয়া ও তাজিন নামে দুই শিক্ষার্থী কিছুদিন আগে হলে আসন বরাদ্দ পায়। তাদেরকে একটি রুমে আসন বরাদ্দ দেয়া হলেও বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করেও তারা ওই রুমে উঠতে পারেনি। শুক্রবার তাদের ওই রুমে উঠিয়ে দিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর শুনি, কয়েকজন ছাত্রী মিলে ওই দুজনকে মারধর করে কক্ষে আটকে রেখেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাহা মুহী দাবি করেন, ওরা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া ওদের বরাদ্দ দেয়া রুমগুলোতে আমাদের দুইজন জুনিয়র কর্মী থাকে।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট বলেন, মারধরের শিকার হওয়া দুই ছাত্রী শুক্রবারই হলে উঠেছে। আমরা কোনো জিহাদি বইও উদ্ধার করিনি। ওই দুই ছাত্রীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
মানবকন্ঠ

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...